আহত বীর মো. বশির উদ্দিন-এর বিস্তারিত

পেশাঃ প্রাইভেট কার চালক
রক্তের গ্রুপঃ বি পজেটিভ (B+VE)
স্থায়ী জেলাঃ ভোলা
সম্ভাব্য চিকিৎসা ব্যায়ঃ 20000 টাকা
সর্বমোট প্রাপ্ত অনুদানঃ 1300 টাকা
সম্ভাব্য ঘাটতিঃ 18700 টাকা
সরাসরি মোবাইল নং- স্ত্রী হালিমা বেগম: 0171234567
সরাসরি ঠিকানাঃ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
পরিচয় ও পরিবারের তথ্যঃ বশির ভোলার দৌলতখান উপজলার চরপাতা ইউনিয়নের চৌধুরী মিয়ার-হাট গ্রামের আজম মালের বাড়ির মৃত মো. কুব্বাত আলী মাল ও মৃত রওশন আরা দম্পত্তির ছোট ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সেখানেই একটি ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার চালিয়ে সংসার চালাতেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

আহত হওয়ার তথ্যঃ ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদর পানি ও শরবত খাওয়ানোর পর আমি বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে মিরপুর ১০ নম্বরের বিআরটিএ অফিস সংলগ্ন আল শরীফ স্কুলের সামনে পুলিশের একটা গুলি আমার পেট ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। সাথে সাথেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে কী হয়েছে আমার কিছু মনে নাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি হাসপাতালে। পরে ডাক্তার বলছে আমার ৬টা নাড়ি ছিদ্র করে পেছন দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমি ছাড়া আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই। আমি যদি মরে যাই তাহলে কীভাবে চলবে আমার সংসার? আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। তাই সরকারের সহযোগিতা চাই। তার স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাই। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাহির থেকে দৈনিক প্রায় তিনশ টাকার ওষুধ কিনতে হয়। একদিকে টাকার অভাবে স্বামীর জন্য ওষুধ ও অন্যদিকে ছেলে-মেয়েদের খাওয়া-দাওয়া এবং সংসার চালাতে পারছি না।